সাহেদ করিম কি আসলেই বাটপার? নাকি প্রতিহিংসার স্বীকার

আজাদ রহমান

শুক্রবার, ২৮ জুলাই ২০২৩, দুপুর ১০:৫৭


রিজেন্ট হাসপাতালের মালিক মোঃ সাহেদ ওরফে সাহেদ করিম বাংলাদেশের আলোচিত একজন। আপনার অনেকেই তাকে বাটপার সাহেদ নামেই চিনেন, তাই না?

বাঙ্গালী জাতি যুগ যুগ ধরেই শুনা কথায়'ই বেশি বিশ্বাস করে থাকেন, আসলেই কি একটা মানুষকে ভালো ভাবে না যেনে খারাপ উপাধী দেওয়া উচত?

আসুন এবার জনাব সাহেদ করিমকে নিয়ে কিছু সত্যিকার তথ্য তুলে ধরি।

এক বুক ভরা স্বপ্ন নিয়ে রিজেন্ট হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করে ছিলেন যিনি। স্বপ্ন দেখেছিলেন প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মাদ সাহেদ করিম, হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা শুরু লগ্ন থেকেই প্রচুর গরিব অসহায় মানুষের চিকিৎসা করেছেন তার হাসপাতালে, বাংলাদেশের রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের প্রারম্তে রিজেক্ট হাসপাতাল প্রথম মেডিকেল ক্যাম্প পরিচালনা করেন তার হাসপাতাল।

UNHCR থেকে সনদ প্রাপ্ত তার হাসপাতাল।

ক্রান্তিলগ্ন থেকে সবসময় হাসপাতালে কাজ করে গিয়েছে। তার ধারাবাহিকতায় তৎকালীন স্বাস্থ্য সচিব জনাব আসাদুজ্জামান হাসপাতাল দুটিকে করোনা ডেডিকেটেড করতে চাইলে তা করোনা হাসপাতাল ডেডিকেটেড করা হয়।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্র সচিব (তৎকালীন) লোকাল গভর্মেন্টে সচিব (তৎকালীন), স্বাস্থ্য সচিব ( তৎকালীন), স্বাধীনতা চিকিৎসা পরিষদের সভাপতি, স্বাধীনতা চিকিৎসা পরিষদের সচিবের উপস্থিতিতে স্বাস্থ্যের তৎকালীন মহাপরিচালক এবং মোঃ শাহেদের সাথে একটি এমওইউ স্বাক্ষর হয় এবং এটিকে করোনা ডেডিকেট হাসপাতাল হিসেবে রুপান্তর করা হয়।

পরবর্তীতে এলাকার বিক্ষিপ্ত জনগণ রিজেন্ট হাসপাতালের প্রতি আতংকিত হয়ে করোনা রোগীদের চিকিৎসার বিরোধিতা করলে তৎকালীন মন্ত্রী পরিষদ সচিবের সু-চিন্তিত মতামতের ভিত্তিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগীতায় রিজেন্ট হাসপাতালে করোনা রোগীর চিকিৎসা প্রদান শুরু হয়। ওই হাসপাতালে প্রায় ১০ হাজার মানুষের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হয়েছিল।

উল্লেখ্য, ২০০৭ সালে রিজেন্ট হাসপাতালের অনুমোদন নেন মোঃ সাহেদ। তবে তখন সেটি হাসপাতাল নয়, এটি ক্লিনিক ছিল। পরবর্তীতে হাসপাতাল হিসাবে কার্যক্রম শুরুর পর উত্তরার পাশাপাশি মিরপুরেও শাখা খোলা হয়।

করোনাভাইরাসের চিকিৎসায় প্রথম বেসরকারি হাসপাতাল হিসাবে রিজেন্ট হাসপাতাল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সঙ্গে কাজ করেন। বাংলাদেশের করোনা রোগের ইতিহাস লিখতে গেলে রিজেন্ট হাসপাতালের নাম প্রথম লিখতে হবে।

বিনা মূল্যে গরিব অসহায় মানুষের ও করোনা রোগীর চিকিৎসাটাই কাল হয়ে রিজেন্ট হাসপাতালের। রিজেন্ট হাসপাতাল ও রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান মি. সাহেদকে করোনাভাইরাস শনাক্তের পরীক্ষায় জালিয়াতি, প্রতারণা ও অনিয়মসহ বিভিন্ন অপরাধের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়।

ভারতে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টার সময তাকে সাতক্ষীরায় সীমান্ত এলাকা থেকে গ্রেফতার করে র‍্যাব। এরপর তাকে নানাবিধ মামলা জড়ানো হয়। তার মামলা এখনও চলমান।

এমএসি/আরএইচ

এই সপ্তাহের পাঠকপ্রিয়

Link copied